Apache Derby দুটি প্রধান মোডে কাজ করতে পারে: Embedded Mode এবং Client/Server Mode। প্রতিটি মোডের মধ্যে কিছু মূল পার্থক্য রয়েছে, যা তাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। নিচে এই দুটি মোডের মধ্যে পার্থক্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
১. আর্কিটেকচার (Architecture)
Embedded Mode:
Embedded Mode এ, ডেটাবেস সার্ভার এবং অ্যাপ্লিকেশন একই প্রক্রিয়াতে (process) রান করে।
এখানে ডেটাবেস অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে এমবেডেড হয়। এটি অ্যাপ্লিকেশন কোডের অংশ হিসেবে কাজ করে এবং কোনো আলাদা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।
সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট একে অপরের সাথে একই প্রসেসে রান করে, ফলে ডেটাবেস এবং অ্যাপ্লিকেশন একে অপরের কাছে স্থানীয়ভাবে (locally) অ্যাক্সেসযোগ্য থাকে।
Client/Server Mode:
Client/Server Mode এ, ডেটাবেস সার্ভার এবং অ্যাপ্লিকেশন আলাদা ডিভাইস বা প্রসেসে চলে।
সার্ভার একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের ডেটাবেস সার্ভিস প্রদান করে।
ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারের মাধ্যমে ডেটাবেসে অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়, যা TCP/IP বা অন্য কোনো নেটওয়ার্ক প্রোটোকলের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে।
২. ব্যবহারের ক্ষেত্র (Use Cases)
Embedded Mode:
Embedded Mode সাধারণত অফলাইন বা লোকাল অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ডেটাবেস অ্যাপ্লিকেশনটির সাথে একই মেশিনে থাকে।
এটি সাধারণত ছোট স্কেল অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রোটোটাইপ তৈরির জন্য উপযুক্ত।
Embedded Mode তে, ডেটাবেস এবং অ্যাপ্লিকেশন একই প্রসেসে রান করার ফলে ত্বরিত অ্যাক্সেস পাওয়া যায় এবং কম লেটেন্সি থাকে।
এই মোডে সার্ভার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে কোনো নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রয়োজন না হওয়ায়, পারফরম্যান্সে উন্নতি দেখা যায়।
Client/Server Mode:
Client/Server Mode তে, ডেটাবেস সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট আলাদা ডিভাইসে চলে এবং তাদের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান হয়, যার কারণে লেটেন্সি বৃদ্ধি পায়।
তবে এটি স্কেলেবিলিটি প্রদান করে, অর্থাৎ একাধিক ক্লায়েন্টের ডেটাবেসে একসাথে অ্যাক্সেস সম্ভব হয়।
৪. কনফিগারেশন (Configuration)
Embedded Mode:
Embedded Mode এ, ডেটাবেস কনফিগারেশন খুবই সহজ এবং অ্যাপ্লিকেশন কোডের মধ্যে এমবেড করা হয়।
এটি সাধারণত কম কনফিগারেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে, এবং অ্যাপ্লিকেশন এক্সিকিউট করার সময় ডেটাবেস প্রস্তুত থাকে।
Client/Server Mode:
Client/Server Mode এ, সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট আলাদা প্রসেসে কাজ করার কারণে কনফিগারেশন আরো জটিল হয়।
সার্ভার পোর্ট, নিরাপত্তা, কানেকশন পুলিং, ক্লায়েন্ট সংযোগ, এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন করতে হয়।
৫. স্কেলেবিলিটি (Scalability)
Embedded Mode:
Embedded Mode সাধারণত একক ইউজার বা ছোট সিস্টেমের জন্য উপযুক্ত, এবং এটি স্কেলেবেল নয়। যদি আরো ইউজারের প্রয়োজন হয়, তবে এটি সীমিত হয়ে পড়ে।
Client/Server Mode:
Client/Server Mode অনেক বেশি স্কেলেবেল। একাধিক ক্লায়েন্ট সার্ভারের সাথে সংযোগ করতে পারে এবং সার্ভারটি অধিকতর ইউজার এবং ডেটাবেস অপারেশন হ্যান্ডেল করতে পারে।
৬. ডেটাবেস সিকিউরিটি (Database Security)
Embedded Mode:
Embedded Mode এ, ডেটাবেস অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে এমবেড করা থাকে, তাই সিকিউরিটি সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন লেভেলেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাধারণত এ ধরনের সিকিউরিটি কমপ্লেক্স হয় না।
Client/Server Mode:
Client/Server Mode এ, সিকিউরিটি বেশি গুরুত্ব পায় কারণ এটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে। আপনাকে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, এনক্রিপশন, আইপি ফিল্টারিং, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কনফিগার করতে হবে।
৭. কনকর্ড ও মানানসই (Compatibility)
Embedded Mode:
Embedded Mode সাধারণত Java অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে সেরা এবং Java SE পরিবেশে ভাল কাজ করে।
এটি সাধারণত একক মেশিনে ডেটাবেস অ্যাপ্লিকেশন এবং ডেটাবেস পরিচালনা করার জন্য উপযুক্ত।
Client/Server Mode:
Client/Server Mode যেকোনো প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কাজ করতে পারে, কারণ ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবহার করা হয়।
এটি সাধারণত Java EE বা অন্যান্য ডিস্ট্রিবিউটেড পরিবেশে ব্যবহার হয়।
সারাংশ
Embedded Mode উপযুক্ত যখন একটি ছোট সিস্টেম বা একক ইউজারের জন্য ডেটাবেসের প্রয়োজন হয়, যেখানে ডেটাবেস এবং অ্যাপ্লিকেশন একসাথে এক মেশিনে থাকে এবং কম্পিউটার রিসোর্সের ব্যবহার কম থাকে।
Client/Server Mode উপযুক্ত যখন একাধিক ইউজারকে ডেটাবেস অ্যাক্সেস প্রদান করতে হয়, বিশেষ করে বড় সিস্টেম বা এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন যেখানে স্কেলেবিলিটি এবং নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ।